📰 Monojit 'Dada': ক্যাম্পাস হিরো থেকে ধর্ষণ অভিযুক্ত – A Chilling Tale of Power and Fear

📰 মনোজিৎ মিশ্রা: ক্যাম্পাস নেতা থেকে ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত

📅 প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৫
🕐 আপডেটেড: ৩০ জুন ২০২৫, ৪:৫৮ PM IST
✍️ রিপোর্ট: শ্রেয়শী দে | সম্পাদনা: সাইকাশ বসু

🧾 সারাংশ (Summary in Bengali)

মনোজিৎ মিশ্র, এক সময়ের আইন শিক্ষার্থী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা, এখন কলকাতার এক আইন কলেজে ধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে একাধিক হেনস্থার অভিযোগ থাকলেও দীর্ঘদিন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে, ক্যাম্পাসে তার প্রভাব, পূর্বের অপরাধমূলক ইতিহাস এবং ধর্ষণ মামলার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

📌 মনোজিৎ দাদা – এক ভয়ংকর প্রভাব

• কলেজের ভিতরে এখনও লেখা আছে: "মনোজিৎ দাদা আমাদের হৃদয়ে আছেন (Team MM)"
• তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও দল এখন তার সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করছে।
• শিক্ষক, কর্মী থেকে ছাত্র-ছাত্রী – অনেকেই তার ভয়ে ছিলেন।

🙏 এক পুরোহিতের বাউন্ডুলে ছেলে

• বাবা রবিন মিশ্রা কালীঘাটের পুরোহিত।
• মা মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
• রাজনীতি ও ঝগড়ার কারণে পরিবার সম্পর্ক ছিন্ন করে।

🏫 ক্যাম্পাসের নেতা থেকে কর্মচারী

• ২০০৭ সালে ভর্তি, ২০১২ সালে ছেড়ে দেয়, ২০১৭ সালে পুনরায় ভর্তি, ২০২২ সালে পাশ।
• ২০২৩ সালে কলেজে কেরানির পদে যোগ দেয় মাত্র ₹৫০০ পার ডে-তে।
• তার আইনজীবী পরিচয় প্রশ্নের মুখে।

💬 নারীদের প্রতি বিকৃত মনোভাব

• মেয়েদের ছবি তুলে মোর্ফ করে ছড়াতো WhatsApp গ্রুপে।
• “তুই আমায় বিয়ে করবি?” — তার ক্লাসিক পিক-আপ লাইন।
• একাধিক ছাত্রীর দাবি, তারা কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো শুধুমাত্র তার ভয়ে।

🧾 তার অপরাধের ফাইল

1. ২০১৭ - কলেজ গার্ডকে মারধর
2. ২০১৯ - ছাত্রীকে হেনস্থা ও চুরির অভিযোগ
3. ২০২২ - মহিলা লাঞ্ছনার মামলা
4. ২০২৪ - কলেজ প্রপার্টি ভাঙচুর
5. ২০২৫ - ধর্ষণের অভিযোগ (চলতি মামলা)

পুলিশ জানিয়েছে, মনোজিৎ ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ও দাবি করেছে সম্পর্ক ছিল সম্মতিতে।

🕵️ ২৫ জুন: ঘটনার দিন

• সন্ধ্যা ৭টা – মনোজিৎ ও অন্য দুই অভিযুক্ত, প্রমিত মুখার্জি ও জায়েব আহমেদ কলেজ ইউনিয়ন রুমে ডেকে পাঠায় ভিক্টিমকে।
• দাবি করে: “তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতি আনুগত্য প্রমাণ করো।”
• মেয়েটিকে অন্য রুমে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
• ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হয়।

📹 সিসিটিভি প্রমাণ ও গ্রেফতার

• ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
• একজন সিকিউরিটি গার্ডসহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

🧾 উপসংহার

এই ঘটনা শুধু একজন ছাত্রীর ওপর অন্যায় নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান এবং সমাজব্যবস্থার ওপরও গভীর প্রশ্ন তোলে। মনোজিৎ মিশ্রার মতো অপরাধীরা কীভাবে এতদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, তার জবাব খুঁজছে কলকাতা এবং সমগ্র ভারত।

📌 নোট:
এই প্রতিবেদনটি সংবাদপত্র এবং পাবলিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছে। সকল বিবরণ তদন্তাধীন এবং ন্যায়িক প্রক্রিয়ার অংশ।